বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন
যশোর প্রতিনিধি :
মির্জা বদরুজ্জামান টুনু
যশোরের শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী জেলা পরিষদ ভবনটি ভেঙ্গে ফেলে সেখানে একটি আধুনিক মানের অট্টালিকা নির্মান করা হবে কিনা সে বিষয়ে গলণশুনানী শুরু করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগ। গতকাল সোমবার দুপুর ২টায় জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই গণশুনানী গ্রহণ করেন স্থানীয় সরকারের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক(যুগ্মসচিব) খন্দকার হোসেন আলী। এ সময় তিনি যশোরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শতাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। সম্প্রতি যশোর জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ শত বছরের পুরোনো এই ভবনটি ব্যবহার উপযোগী নয় মর্মে স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি লিখিত আবেদন জানান। এর পরই গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের একটি উচ্চ পদস্থ তদন্ত টিম ভবনটি পরিদর্শন করে তা ব্যবহার উপযোগী নয় মর্মে তা পরিত্যক্ত ঘোষনা করেন। ইতিমধ্যে দ্বিতল এই ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। কর্মকর্তা কর্মচারীরা অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই পরিত্যক্ত ভবনে অফিস করছেন। এই অবস্থায় সম্প্রতি জেলা পরিষদ এক সভায় ওই পরিত্যক্ত ঘোষিত ভবনটি ভেঙ্গে তদস্থলে একটি সুউচ্চ ভবন নির্মানের পরিকল্পনা নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি প্রকল্প দাখিল করেন। এই খবর ফাঁস হয়ে গেলে যশোরের বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ ক্সুব্ধ হয়ে ভনটি রক্ষায় রাস্তায় নামে। পত্র পত্রিকায় ভবনটি রক্ষায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। তারই প্রেক্ষিতে গতকাল স্থানীয় সরকারের পরিচালক খন্দকার হোসেন আলী এই গণশুনানীর মাধ্যমে ভবনটি বর্তমান অবস্থা ও এটি রক্ষার পক্ষে বিপক্ষে জনগণের মতামত গ্রহণ করেন। এসময় যশোর জিলা পরিষদের সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সাংবাদিক জাহিদ হাসান টুকুন, অসীম বোস, রোকনুদ্দৌল্লাহ, ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ও ভবন রক্ষার পক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
এ বিষয়ে যশোর জিলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল বলেন, এই ভবনটি একশত বছরের বেশি সময়ের পুরোনো। এটিরবিভিন্ন অংশে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে ভবনটি জলাবদ্ধ হযে পড়ে। ভারী যানবাহনের চলাচলে ভবনটি কাঁপে। যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাছাড়া গণপূর্ত বিভাগ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষনা করেছে। ফলে এই জরাজীর্ণ ভবনটি রেখে কোন লাভ নেই। এটি ভেঙ্গে একটি সুদৃশ্য অট্টালিকা নির্মান করলে জেলা পরিষদের বিভিন্ন বিভাগের একোমোডেশন হবে। আয় বৃদ্ধি পাবে। জনগণের সেবার মান বাড়বে। ###
যশোর
১১-০২-১৯
Leave a Reply