বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
মৃণাল চৌধুরী সৈকত, টঙ্গী
টঙ্গীর টিএন্ডটি বাজাওে একজন শ্রমিকের বেতন আত্বসাৎকে কেšদ্র স্থাানীয় কাউন্সিলরের সামনেই দু-গ্রæপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। কাউন্সিলরের সামনে সাদ্দাম নামে স্থাানীয় এক সন্ত্রাসী টিএন্ডটি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নবীন হোসেন ও ব্যবসায়ী আল-আমীনকে মারধর করেছে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নবীন হোসেনের সমর্থকরা একত্র হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সাদ্দাম ও বিপ্লবকে প্রায় ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ কওে রাখে স্থাানীয় লোকজন। খবর পেয়ে টঙ্গী থানা পুলিশ দ্রæত ঘটনাস্থালে পৌঁছে পরিস্থিাতি নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং রাত প্রায় ২-টায় উভয় পক্ষকে সামনে রেখে স্থাানীয় দুই কাউন্সিলর সহ স্থাানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিাতে বিষয়টি দ্রæত সমাধান দেয়ার শর্তে উভয় পক্ষকে শান্ত করা হয়েছে।
উপস্থিাত স্থাানীয় লোকজন জানায়, রিয়াজুল হাসান নামে এক দিনমুজুর স্থাানীয় হান্নানের বাড়িতে কাজ করে। গত রোববার রাত ৯ টায় হান্নানকে টিএন্ডটি বাজারে পেয়ে ওই শ্রমিক কাজের মুজুরী পরিশোধের দাবী জানায়। এ সময় বাড়ি ওয়ালা হান্নান ক্ষীপ্ত হয়ে ওই শ্রমিকে মুজুরী নাদিয়ে উল্টো তাকে মারধর করে। এনিয়ে শ্রমিক রিয়াজুল ও বাড়িওয়ালা হান্নানের মধ্যে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হলে শ্রমিক রিয়াজুল স্থাানীয় কাউন্সিলর সাদেক মিয়ার কাছে গিয়ে বিচার প্রাথী হয়। এদিকে হান্নান তার ছেলে ইভানকে বিষয়টি জানিয়ে দ্রæত লোকজন নিয়ে টিএন্ডটি বাজাওে আসতে বলে। ইভান এ খবর পেয়ে তার সহযোগী সাদ্দাম হোসেন মজুমদার, বিপ্লব মজুমদার, জীবন সহ ১৫/২০ জন যুবককে সাথে নিয়ে কাউন্সিলর সাদেক মিয়ার অফিসে গিয়ে রিয়াজুলের উপর হামলা চালায় এবং বেদম মারধর করে গুরতর আহত করে। তাকে টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ সময় সেখানে কাউন্সিলর সাদেক ও মাজহারুল ইসলাম দিপু সহ বাজার কমিটির সভাপতি নবীন সেখানে উপস্থিাত ছিলেন। এ সময় ঘটনার প্রতিবাদ করায় সাদ্দাম কাউন্সিলরের উপর দিয়ে নবীন ও আল-আমীনকে কিল-ঘুষি মেওে আহত করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকার কয়েক শত লোক সাদ্দাম ও বিপ্লবকে আটক কওে প্রায় ৪ ঘন্টা অবরোধ কওে রাখে পওে পুলিশ সহায়তায় পরিস্থিাতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপাওে সাদ্দাম মজুমদারের পিতা মনির মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নবীনের সাথে রাসেলের কথা কাটাকাটি হলে উত্তরা থেকে সাদ্দাম এসে সেখালে অনেক লোকজন দেখে বিষয়টি জানতে চাইলে নবীনের সাথে সাদ্দামের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থাানীয় দুই কাউন্সিলর ছাদেক ও দিপুর সহযোগীতায় স্থাানীয় পুলিশ ও প্রতি মন্ত্রী মহোদয়ের হস্তক্ষেপে তা মিমাংশা করা হয়েছে।
এ ব্যাপাওে কাউন্সিলর সাদেক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র কওে মনির মজুমদারে ছেলে সাদ্দাম ও বিপ্লব মজুমদার এলাকায় এসে দরিদ্র মানুষের উপর হামলা চালায় প্রতিবাদ করতে গিয়ে হট্রগোলের সৃষ্টি হয়। পওে আমরা প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে তা মিমাংশা করে দিয়েছি।
টঙ্গী থানার অফির্সাস তদন্ত মো.জাহিদ হোসেন উপরোক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
Leave a Reply